বটপূজারীরা নফসের তথা কুপ্রবৃত্তির দাস। এদের কুপ্রবৃত্তির কুরুচিপূর্ণ আচারগুলো ইহুদী-খ্রিস্টন-মুশরিকদের অর্থায়নে বাংলার
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। সুতরাং বাংলার মুসলমানরা আপনারা- বুদ্ধিজীবী দাবিদার বটপূজারী নফসের তথা কুপ্রবৃত্তির
দাসদের খপ্পড় থেকে সাবধান!!! বটপূজারী নফসের তথা কুপ্রবৃত্তির দাসরা সভ্য হয় কী করে!
প্রকৃতির সেরা ও বুদ্ধিমান জীব বলে প্রচার করলেও, বুদ্ধিজীবী দাবিদার
হলেও সমান্য একটা অশ্বথগাছকে বটগাছ বানিয়ে পূজা করে কিভাবে? অসভ্যগুলো কেমন ধোঁকাবাজ ও জালিয়াত চিন্তা করুন! আসলে এরা মানুষ না, যদিও এদের দেহের গড়ন মানুষের মতো।
আর সংস্কৃতিমনা শিক্ষিত ও সভ্য বুদ্ধিজীবী দাবিদার হলেও এরা
মূলত নিরেট মূর্খ ও ধোঁকাবাজ! কেননা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি
বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। আর বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী
সন। তাহলে কি করে তার প্রবর্তিত ফসলী সন, বাংলা সন ও বাঙালিদের সন হতে পারে?
বাদশাহ আকবরের রাজ জ্যোতিষবিজ্ঞানী সিরাজী সামাজিক ক্ষেত্রে
ও ফসলের মৌসুমের দিকে লক্ষ্য রেখে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থের নামে হিজরী সনের পরিবর্তে
ঋতুভিত্তিক সৌর সনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে পবিত্র হিজরী সনকে ফসলী সন হিসেবে চালু করে। পরবর্তীতে সে ফসলী সনকে মূর্খ ও অজ্ঞ লোকেরা বাংলা সন হিসেবে প্রচার ও প্রচলন করে। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মোতাবেক ১০ মার্চ ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে এবং তা কার্যকর
করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র
সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।
অর্থাৎ ফসলী সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩
হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। তাহলে তা কি করে
হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? উল্লেখ্য মূর্খতা ও অজ্ঞতার একটা স্তর থাকা উচিত। এই শ্রেণীর মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের দ্বারা গুমরাহী ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে!
No comments:
Post a Comment