পবিত্র শবে বরাত
পালনের মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে
রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করে
পরবর্তী দিনে
পবিত্র রোযা
রেখে মহান
আল্লাহ পাক
উনার ও
উনার রসূল,
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনাদের সন্তুষ্টি
অর্জন করা। পবিত্র
শবে বরাতে
কোন কোন
ইবাদত-বন্দেগী
করতে হবে
তা পবিত্র
কুরআন শরীফ
ও পবিত্র
সুন্নাহ শরীফ
উনাদের মধ্যে
নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি।
তবে ইবাদত-বন্দেগী করার
জন্য তাকীদ
ও নির্দেশ মুবারক
করা হয়েছে।
যেমন-
* পবিত্র শবে বরাত
উনার নামায
পড়বে।
৪, ৮,
১২ রাকায়াত। দুই
দুই রাকায়াত
করে।
* পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ
উনার নামায
পড়বে, যার
দ্বারা মানুষের
গুনাহখাতা ক্ষমা হয়।
* পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার
নামায পড়বে,
যা দ্বারা
মহান আল্লাহ
পাক উনার
নৈকট্য হাছিল
হয়।
* পবিত্র কুরআন শরীফ
তিলাওয়াত করবে,
যার দ্বারা
মহান আল্লাহ
তায়ালা উনার
সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
* মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম
শরীফ ও
দুরূদ শরীফ
পাঠ করবে,
যার দ্বারা
মহান আল্লাহ
পাক উনার
রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার
খাছ সন্তুষ্টি
অর্জিত হয়।
* পবিত্র যিকির-আযকার
করবে, যার
দ্বারা দিল
ইছলাহ হয়।
* কবরস্থান যিয়ারত করবে,
যার দ্বারা
মৃত্যুর কথা
স্মরণ
হয় এবং পবিত্র সুন্নত আদায়
হয়।
* গরিব-মিসকীনকে দান
ছদকা করবে
ও লোকজনদের
খাদ্য খাওয়াবে,
যার দ্বারা
হাবীবুল্লাহ হওয়া যায়।
সর্বোপরি পুরো রাত্রিই
অতিবাহিত করতে
হবে পবিত্র
যিকির-ফিকির,
তওবা-ইস্তিগফারের
মাধ্যমে।
যাতে মহান
আল্লাহ পাক
উনার ও
উনার রসূল,
নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
উনাদের সন্তুষ্টি
অর্জিত হয়।
আর পবিত্র শবে
বরাত উনার
পূর্ণ নিয়ামত
লাভের জন্য
সর্বোত্তম উসীলা বা মাধ্যম হলেন-
বর্তমান যামানার
ইমাম ও
মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ
হযরত মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস
সালাম উনার
পবিত্রতম ছোহবত
মুবারকে থেকে
সারারাত্রি জাগরণ ও পবিত্র সুন্নত
মুতাবিক মক্ববুল
দোয়া, মক্ববুল
মুনাজাত শরীফ
উনার মধ্যে
শরীক হওয়া,
অতি উত্তম
ও সহজ
পদ্ধতিতে পবিত্র
রাত্র অতিবাহিত
করা এবং
পরবর্তী দিনে
রোযা রাখা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ক্বদম মুবারকে থেকে পবিত্র শবে বরাত উনার যথাযথ হক্ব আদায় করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
No comments:
Post a Comment