আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল
মুসলিমীন, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ,
ইমামুছ ছানী
মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমাম
হাসান আলাইহিস
সালাম তিনি
ছিলেন মুস্তাজাবুদ
দাওয়াত।
যে মহান
ব্যক্তিত্ব উনর সব দোয়াই কবুল
করা হয়। উনাকে
মুস্তাজাবুদ দাওয়াত বলা হয়। উনার সব
দোয়া মুবারকই
মহান আল্লাহ
পাক উনার
নিকট মকবুল। তিনি
যখন যা
চাইতেন মহান
আল্লাহ পাক
তিনি উনাকে
তখনই তা
দিতেন।
উনার কোনো
চাওয়াই মহান
আল্লাহ পাক
তিনি অপূর্ণ
রাখেননি।
এ ব্যাপারে
পবিত্র জীবনী
মুবারক উনার
গ্রন্থে অসংখ্য-অগণিত ঘটনা
রয়েছে।
বিষয়টি স্পষ্ট
করার জন্য
শুধুমাত্র একটি ঘটনা মুবারক উল্লেখ
করছি।
একদিন ইমামুল হিমাম,
সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত
ইমাম হাসান
আলাইহিস সালাম
উনার সাথে
হযরত যুবায়ের
ইবনে আওয়াম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কোনো
একজন ছেলে
সফরে ছিলেন। উনারা
একটি শুষ্ক
খেজুর বাগানে
শিবির স্থাপন
করলেন।
সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
জন্য বাগানের
এক পার্শ্বে
এবং হযরত
যুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু
তায়লা আনহু
উনার পুত্রের
জন্য সেই
বাগানের অপর
পার্শ্বে তাঁবু
টাঙ্গানো হলো।
হযরত যুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু
উনার সেই
ছেলে বললেন,
“যদি এই
বাগানে তাজা
খেজুর থাকতো
তাহলে খুবই
ভালো হতো। আমরাও
খেতে পারতাম
অন্যান্য যারা
আছেন তারাও
উপকৃত হতো।
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল
মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন
আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি একথা
শুনে বললেন,
আপনি কি
তাজা খেজুর
চান?
তিনি বললেন, হ্যাঁ!
আমি চাই। তখন
সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
মহান আল্লাহ
পাক উনার
নিকট দোয়া
মুবারকের জন্য
হাত মুবারক
উঠালেন এবং
ঠোঁট মুবারক
নেড়ে কিছু
পড়লেন; যা
কেউ জানতে
পারলো না। আর সাথে সাথে
খেজুর গাছগুলো
সবুজ সতেজ
ও ফলবান
হয়ে গেলো। তাতে
তাজা খেজুর
উৎপন্ন
হলো।
উনার উট চালক
খাদিম বললেন,
মহান আল্লাহ
পাক উনার
ক্বসম! এটা
তো প্রকাশ্য
যাদু মনে
হচ্ছে।
সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী
মিন আহলি
বাইতি রসূলিল্লাহি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
বললেন, এটা
যাদু নয়। বরং
মুস্তাজাবুদ দোয়া উনার তা’ছীর বা
প্রভাব।
যা নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার
আওলাদ তিনি
করেছিলেন।
তারপর সকলেই
সেই খেজুর
গাছে উঠে
সকল খেজুর
নামিয়ে আনলেন
এবং পরিতৃপ্ত
হয়ে খেয়ে
সবাই উনার
শুকরিয়া আদায়
করলেন।
সুবহানাল্লাহ! (শাওয়াহেদুন নুবুওওয়াত- ২৩০)
No comments:
Post a Comment