বর্তমান আ’লীগ
নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শীর্ষ নেতৃ শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে ‘পবিত্র
কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে তথা ধর্মের নামে এদের
মানুষদেরকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করেছে। ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে
একের পর এক ইসলামবিরোধী আইন ও নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে।
১. পর্দা করতে বাধ্য
করা যাবে না, ২. মেয়েদেরকে ছেলের সমান অধিকার দেয়া, ৩. ইসলাম শিক্ষা বইয়ে দেব-দেবীর
নামে জবেহ করা গোশত খাওয়া জায়িয লেখা, ৪. দেশের শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামী শিক্ষা
বাদ দেয়া, ইসলাম শিক্ষা ঐচ্ছিক করে দেয়া, মান কমিয়ে দেয়া, কোণঠাসা করা, ৫. মাদরাসা
শিক্ষাকে সিলেবাস পরিবর্তন করে স্কুল কলেজের সাথে মিলিয়ে দেয়া, ৬. সংবিধান থেকে মহান
আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দেয়া, ৭. বিভিন্ন স্কুল-কলেজের হিন্দু
শিক্ষকরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও নবীজি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
শানে কটূক্তি করলেও শাস্তি না দেয়া; ৮. সুন্নতী বাল্যবিবাহ রোধ করা ইত্যাদি ইত্যাদি
ধর্মদ্রোহী কাজ করে যাচ্ছে। ৩ আগস্ট ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে যামানার একমাত্র ইসলামী দৈনিক
পত্রিকা ‘দৈনিক আল ইহসান’ পত্রিকায় প্রকাশিত মাদারীপুর জেলার রাজৈর সংবাদদাতার
পরিবেশিত খবরে গা শিহরিত হয়েছে। এদেশ ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ। অথচ মাদারীপুর জেলার
রাজৈর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা বই পড়ানোর মুসলমান শিক্ষক নেই। ইসলাম
শিক্ষা বই পড়ায় হিন্দুরা। সরকারের কান্ড দেখে গা জ্বলে উঠছে। খবরটি পড়ুন:
ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছে হিন্দু শিক্ষক! ক্লাসে অনৈসলামিক আলোচনা ।।
রাজৈর সংবাদদাতা: রাজৈর উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘ইসলাম শিক্ষা’ ক্লাস নিচ্ছে হিন্দু শিক্ষকেরা। অভিযোগে প্রকাশ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ছাত্রছাত্রী স্কুলগুলোতে মুসলমান শিক্ষক না থাকায় হিন্দু শিক্ষকরা ‘ইসলাম ধর্ম শিক্ষা’ পড়াচ্ছে। ফলে ইসলাম শিক্ষার পরিবর্তে, অনৈসলামিক শিক্ষায় কোমলমতি শিশুদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে বলে জোর অভিযোগ উঠেছে অভিভাবক মহল থেকে।
সূত্র জানায়, ক্লাস চলাকালীন ধর্মীয় শিক্ষা পাঠদানের পরিবর্তে স্টার জলসা, জিটিভি, ইটিভি, সিএনএন ইত্যাদি চ্যানেলের বিভিন্ন সিরিয়ালের কল্প-কাহিনী কোমলমতি শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। রামায়ন-মহাভারতের নানা কাহিনী কোমলমতি মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের শুনিয়ে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিভাবক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, হোসেনপুর ইউনিয়নের রাঘদী নাগরদী ১২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৬৪ জন। এর মধ্যে ৯০ জন, ছাত্রী ৭৪ জন ছাত্র। এদের মধ্যে শতকরা ৮৬ জন মুসলমান, এ বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছে। তারা হলো- অঞ্জলী রানী বৈদ্য (প্রধান শিক্ষিকা), আনন্দ কুমার বাড়ৈ, আশালতা মন্ডল, শিল্পী ঠাকুর। তারা চারজনই হিন্দু। ইসলাম শিক্ষা ক্লাস নিচ্ছে তারাই। হোসেনপুর ইউনিয়নের আরেক স্কুল-১৫নং সত্যবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ২১৯ জন, এদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১১৪ জন, ছাত্রী সংখ্যা ১০৫ জন। এই স্কুলের ১০০ ভাগ ছাত্র ছাত্রী মুসলমান। কিন্তু এ স্কুলে যে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছে তাদেও মধ্যে চারজনই হিন্দু। তারা হলো, শান্তি লতা মন্ডল (প্রধান শিক্ষিকা), কাকলী বিশ্বাস, কিশোর মজুমদার, কবিতা রায়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এসব ছাত্র-ছাত্রীদের ধর্মীয ক্লাস নিচ্ছে হিন্দু শিক্ষকেরা। ফলে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার বিপরীতে হিন্দু ধর্মীয় কল্প কাহিনী এবং স্যাটেলাইট টিভিতে প্রচারিত অনৈসলামিক অনুষ্ঠান বিষয়ক নানা আলোচনা শুনতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। এ যেন শিশুদেরকে ইসলাম শিক্ষা থেকে দূরে রাখারই একটি অপকৌশল।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, নিজ গ্রামের স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা গ্রাম্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সন্তানদের সাথে নানা ধরনের বৈষম্যমুলক আচরণ করছে এবং নির্যাতন করছে। আবার হিন্দু শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের প্রতি চরম অবহেলা প্রদর্শন করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজ গ্রাম এবং নিজ ইউনিয়নে কর্মরত শিক্ষকরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় দুপুর একটার মধ্যেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়। বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে (এটিইও/টিইও) ম্যানেজ হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা নিয়মিত পড়াশুনা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্লাস চলা কালীন সময়ে শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের বিষয়ে যথেষ্ট উদাসিনতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইসলাম ধর্ম শিক্ষা পড়ানোর ব্যাপারে ১৫নং সত্যবতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শান্তি লতা মন্ডল বলেছে, আমাদের বই দেখে পড়াতে বলেছে, আমরা যা বুঝি সেভাবে পড়াই। আমাদের কোনো মুসলমান শিক্ষক নাই। পরিমল চন্দ্র বালা বলেছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কোনো বিষয়ের উপর হয় না, তাই যে কোনো শিক্ষকই ইসলাম ধর্ম শিক্ষা ক্লাস নিতে পারে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রাজৈর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম-এর নিকট মোবাইলফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রাজৈর উপজেলায় বেশির ভাগই হিন্দু শিক্ষক, মুসলমান শিক্ষক কম। রাজৈর উপজেলার চার/পাঁচটি বিদ্যালয়ে মুসলমান শিক্ষক নাই, আমরা চেষ্টা করছি একজন করে মুসলমান শিক্ষক দেয়ার জন্য।
দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বিদ্যালয় ছুটির ব্যাপারে বলেন, ব্যাপারটি আমার জানা নাই। যদি কোনো স্কুল নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিব।ইসলাম ধর্ম শিক্ষা ক্লাসে স্যাটেলাইট টেলিভিশন সিরিয়াল নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নাই; এ রকম কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
No comments:
Post a Comment