বিদ্যুৎ
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হকের নিজ জেলায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ
হয়ে উঠছে গ্রাহকরা। ঘনঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে অধিকাংশ বাড়িতে প্রতিনিয়ত
ফ্রিজ ও মটর পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে মন্ত্রীর সফরকালে লোডশেডিংয়ের
মাত্রা কম হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ পড়েছে গ্রাহকদের রোষাণলে।
জেলার পাঁচ উপজেলায় গত দু’মাস আগে বিদ্যুতের তেমন লোডশেডিং ছিল না।
কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জেলার মানুষ পড়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ
লোডশেডিংয়ে। দিনে কতবার বিদ্যুৎ যায় তা গ্রাহকরা এখন বলতে পারেন না। তারপরও
রমজানের ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কোনো ষড়যন্ত্র
অথবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে কিনা তা এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।
এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, রাতের বেলায় অব্যাহত
লোডশেডিংয়ের কারণে শহরের বিভিন্ন বিপণীকেন্দ্র ও নিউ মার্কেটের জমজমাট ঈদের বাজারে
ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম অসুবিধার মধ্যে পড়ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোজহারুল ইসলাম জানান, জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে
৫০-৬০ মেগাওয়াট, কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪০ মেগাওয়াট। এলাকা বিশেষে
প্রতিদিন প্রায় ৪ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলার জন্য বরাদ্দকৃত ৫০-৬০
মেগাওয়াটের মধ্য থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৮ মেগাওয়াট ঢাকা নিয়ে নেয়ায় জেলায়
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরাদ্দকৃত বিদ্যুৎ ঢাকা
নিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকৌশলী বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর গোচরীভূত করেননি বলে অভিযোগ
রয়েছে।
No comments:
Post a Comment