পদ্মা ১৪ সেমি এবং মহানন্দায় পানি হ্রাস পেলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানিবন্দি মানুষের দুঃখ দুর্দশা চরম পর্যায়ে রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, ওষুধ ও গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র সংকট রয়েই গেছে।
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে আলাতুলি, নারায়ণপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে পদ্মায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার ৫শ পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়ে গৃহহারা হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা ১৪ সেমি এবং মহানন্দায় ৪ সেমি পানি পানি হ্রাস পাওয়ায় পরেও পদ্মা বিপদসীমার ৩ সেমি নিচ এবং মহানন্দা বিপদসীমার ১৪ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার আলাতুলি, নারায়ণপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও উজিরপুর ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা খায়রুল আনাম জানান, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে ৬৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির জানান, গত ৩ দিন ধরে ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রায় ৪শ ৬৭টি পরিবার গৃহছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত পানিবন্দি ২ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ৩ বার চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আলাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোয়াজ আলী জানান, রোডপাড়া, লুটারীপাড়া সরকারপাড়া, কাইয়াপাড়া, কলিমপাড়ায় শুরু হয়েছে ভাঙন। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার গৃহহারা, ৬টি মসজিদ, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদরাসা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হওয়া ৩শ পরিবার ইতোমধ্যে গোদাগাড়িসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে দু’হাজার ৫শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল ছাড়া অন্য কোনো ত্রাণ না দেয়ায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
চারিদিক ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একবারেই
ভেঙে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগ দেখা দিলেও মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা এখন পর্যন্ত যাননি বলে জানান আলাতুলি চেয়ারম্যান।
No comments:
Post a Comment