Thursday, June 19, 2014

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, রোববার হরতালের ঘোষণা(মূলত বিদেশী চক্রান্তে দেশীয় ফল নষ্ট করা হচ্ছে। ফরমালিন একটা ইস্যু মাত্র।বরং বিদেশী সব ফলে ব্যাপক ফরমালিন থাকে)




গাছ থেকে আম ভাঙ্গা ও বাজারজাত বন্ধ রেখে জেলার আম ব্যবসায়ীরা আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ফরমালিন পরীক্ষার নামে হয়রানি, চাঁদাবাজি ও আম নষ্ট করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। শুক্র ও শনিবারের মধ্যে হয়রানি ও আম নষ্ট করা বন্ধ না হলে আগামী রোববার হরতাল পালন করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আম ব্যবসায়ীরা।



জেলা সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার আম ব্যবসায়ীরা আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে থাকেন। এখান থেকে চেম্বার সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে কয়েক শ আম ব্যবসায়ী বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল। তাঁরা বলেন, কয়েক লাখ মানুষ আম ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা আম মৌসুমে ব্যবসা করে সারা বছরের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ফরমালিন পরীক্ষার নামে গত ১০ দিনে কয়েক কোটি টাকার আম নষ্ট করা হয়েছে। এর ফলে ফরমালিন-আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বাজারে নেমেছে ধস। বাইরের ব্যাপারিদের আনাগোনা কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হাজার হাজার আম ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়বে। হয়রানি বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কঠোর কর্মসূচি দেবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আবদুল ওয়াহেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ, কানসাট আম আড়তদার সমিতির সভাপতি আবু তালেব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম আড়তদার সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইউনুসুর রহমান ও অন্য আম ব্যবসায়ী নেতারা।
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, যেসব মেশিন দিয়ে শনাক্ত করা হচ্ছে সেগুলো আমের ফরমালিন শনাক্ত করার জন্য প্রযোজ্য নয়। অথচ ওইসব মেশিন দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকার আম নষ্ট করা হয়েছে। তা ছাড়া হয়রানি ও আম নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাও আদায় করছে। এসবের ফলে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার আম ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। লক্ষাধিক শ্রমিকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যাংকগুলোতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। ব্যাংকগুলোও আয় করে মোটা অঙ্কের টাকা। লেনদেন কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুক্র ও শনিবারের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম নষ্ট, হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আগামী রোববার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়া নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় আম ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সরাফত আলী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ আমের আড়তসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফরমালিন পাওয়া যায়নি। এ সময় নির্বাহী হাকিমের সঙ্গে বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও ছিলেন। আমাদের ধারণা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফরমালিন মেশানো হয় না।’

1 comment:

ভোলাহাট প্রতিনিধি : said...

ভারতীয় র’-এর ষড়যন্ত্র!!! আমাদের দেশের আমের সুনাম নষ্ট করতে তারা এই অপপ্রচারে নেমেছে দালাল মিডিয়ার কাঁধে ভর করে।

Post a Comment