আহলান সাহলান পবিত্র রমাদ্বান শরীফ!!!
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের
মাস। এ পবিত্র মাস উনার অনেক মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। এ পবিত্র মাস হলো মহান আল্লাহ
পাক উনার খাছ মাস। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র
রমাদ্বান শরীফ উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাজাতের।”
সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার বুযূর্গী ও সম্মান সম্পর্কে
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে, “পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হলো মহান আল্লাহ
পাক উনার খাছ মাস। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মাস পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনাকে
সম্মান করলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে
সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস আসে তখন
আসমানের, রহমতের ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ
করে দেয়া হয়। আর ইবলিস শয়তানকে শিকল দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস অনেক রহমত, বরকত, সাকীনা,
ক্ষমা নিয়ে বছরে একবার ফিরে আসে কিন্তু কমসংখ্যক মানুষই এই পবিত্র মাস উনার গুরুত্ব
উপলব্ধি করতে পারে। কারণ শুধু না খেয়ে থাকাটাই রোযা নয়; বরং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস
হচ্ছে- পরিপূর্ণরূপে তাকওয়া হাছিলের মাস। কিন্তু এ সম্মানিত মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি
না করার কারণে মানুষ এ মাসে অনেক ভুলের মধ্যে নিপতিত হয়। যেমন, খালি চোখে চাঁদ না দেখে
মনগড়াভাবে মাস শুরু করা, ইনজেকশন নিলে রোযা ভাঙ্গে না- এরকম ভুল ফতওয়ার উপর আমল করা,
পবিত্র তারাবীহ উনার নামায বিশ রাকায়াতের জায়গায় আট রাকায়াত পড়লেই চলে- এরকম ভ্রান্ত
ফতওয়ার উপর আমল করা, ফিতরার হিসাব নির্ধারণে ভুল করা। এ রকম আরো অনেক। এছাড়াও যাকাতের
কাপড়ের জন্য নিম্নমানের কাপড়ের ব্যবস্থা করা এসবগুলো কাজই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত বহির্ভুত।
এতে তাক্বওয়া তো হাছিল হয়ই না; বরং রোযা নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ
মাস শুরুর পূর্বে সমস্ত আমলের বিষয়গুলোর উপর পরিপূর্ণ তাহক্বীক্ব করা এবং এ সম্পর্কিত
পরিপূর্ণ ইলম অর্জন করা ফরয।
বাংলাদেশে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ
করতে হবে ২৯শে আউওয়াল-১৩৮২ শামসী সন, ২৮শে জুন-২০১৪ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুস সাব্ত বা শনিবার
দিবাগত সন্ধ্যায়। সেদিন চাঁদের বয়স হবে ২৭ ঘণ্টার বেশি। দিগন্ত রেখার উপর চাঁদের উচ্চতা
হবে ৭ ডিগ্রির বেশি। কৌণিক দূরত্ব হবে ১৩ ডিগ্রির বেশি এবং চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের
সময়ের পার্থক্য হবে ৩৮ মিনিট। চাঁদের এরূপ মান থাকায় সেদিন বাংলাদেশে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা
ক্ষীণ।
কাজেই বাংলাদেশে পবিত্র রোযা পালন শুরু হবে ১লা ছানী-১৩৮২ শামসী সন, ৩০শে জুন-২০১৪
ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ থেকে।
No comments:
Post a Comment