Saturday, July 5, 2014

প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের সাথে বৈঠকের জন্য গোপন সফর: সুলতানা কামালসহ সিএইচটি’র সদস্যরা পার্বত্যাঞ্চলে অবাঞ্চিত ॥ পুলশের সহায়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পলায়ন

প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে ‘চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন’-(সিএইচটি) নামক দেশদ্রোহী সংস্থার কো-চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টার তকমাধারী কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খ্রিস্টান রাজ্য গঠনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসের উস্কানিদাতা দালাল এডভোকেট সুলতানা কামালসহ ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলকে রাঙামাটিতে অবরুদ্ধ করে দেশপ্রেমিক বাঙালিদের ৬টি সংগঠন। পরে এসব দালালরা পুলিশী প্রহরায় পলায়ন করে জান বাঁচায়। এরা পার্বাত্যাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করতে বিদেশী এজন্ডা বাস্তবায়নে চক্রান্তে লিপ্ত।
এসময় রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের মোটেলে অবস্থান নেয় গাদ্দার দালালরা। প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে রাঙামাটিতে যাওয়ায় প্রথমত তাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারেনি প্রশাসনে কর্মকর্তরাও। প্রশাসনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদেরকে রাঙামাটিতে না আসতে বারবার অনুরোধ করা হয়। তারপরও প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে তারা রাঙ্গামাটি এসেছে। এটা অবশ্যই রহস্যজনক।

এদিকে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের প্রতিনিধি দলের গোপনে রাঙ্গামাটি সফরের প্রতিবাদে ৫ জুলাই ২০১৪ ঈ. ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে দেশপ্রেমিক বাঙালিদের ৬ সংগঠন। অবরোধের কারণে রাঙ্গামাটি শহরে প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সিএইচটি কমিশনের প্রতিনিধি দল যতক্ষণ পর্যন্ত রাঙ্গামাটি ত্যাগ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনের নেতারা।
সিএইচটি কমিশনের রাঙ্গামাটি সফরের প্রতিবাদে গত জুমুয়াবার থেকে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ শুরু করে কমিশন না আসায় সাত ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে বাঙালি সংগঠনগুলো। কিন্তু ৪ জুলাই ২০১৪ ঈ. জুমুয়াবার দিবাগত রাতে বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী সিএইচটি কমিশনের প্রতিনিধি দল গোপনে রাঙ্গামাটি অবস্থান করলে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ৫ জুলাই ২০১৪ ঈ.  ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) সকালে বাঙালি সংগঠনগুলো কাঠালতলী ফিসারি বাঁধের সড়কের উপর ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এর আগে ৪ জুলাই ২০১৪ ঈ.  জুমুয়াবার বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি বাবুছড়া ও বাগাইহাট পরিদর্শন করে বিতর্কিত সংস্থা সিএইচটি’র সদস্যরা। পরে কমিশন পর্যটন মোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে। ‘চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন’-(সিএইচটি) নামক দেশদ্রোহী সংস্থার কো-চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টার তকমাধারী কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খ্রিস্টান রাজ্য গঠনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসের উস্কানিদাতা দালাল এডভোকেট সুলতানা কামাল ওই সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বলেছে, দীঘিনালার বাবুছড়ায় পাহাড়ীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে। তারা এদেশের নাগরিক হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে চায়। সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাপন যেন ব্যাহত না হয়, তার দেখভাল করা স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছে এই দালাল মহিলা। বিতর্কিত সংস্থা সিএইচটি কমিশনের সদস্য ড. স্বপন আদনান, মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবির, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও হানা শামস প্রমুখ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলো।

এদিকে ওই সম্মেলন চলাকালীন বাঙালি ছাত্র পরিষদ এ কমিশনকে খাগড়াছড়িতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পর্যটন মোটেল ঘেরাও করে। এ সময় বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি আবদুল মজিদ সমাবেশ থেকে সিএইচটিকে ছাগড়াছড়িতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং ৩০ মিনিটের আলটিমেটাম দিয়ে তাদের খাগড়াছড়ি ত্যাগ করার আলটিমেটাম দেন। অবশ্য এ সময়ের মধ্যে সুলতানা কামালসহ দেশবিরোধী ঘাতক সংস্থাটির গাদ্দার কর্মকর্তারা গাড়িযোগে দেশপ্রেমিক অবরোধকারীদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পরে পুলিশ পাহারায় সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

No comments:

Post a Comment