শাহী মুবারকবাদ, হে শাহরুল আ’যম!
নূরে হাবীবী উনার বিলাদতে শ্রেষ্ঠ চরম।
পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ
নূরে হাবীব যমীনে এনেছেন তাশরীফ।
সৃষ্টিকুলে নূরে হাবীব যেমন অতুলনীয়
দিনের মাঝে সোমবার তেমনি মোহনীয়।
সুবহে সাদিকে সিজদাবনত অবস্থায়
নূরে হাবীব আগমন করেন ধরায়।
মুবারক আগমনী রাত্র ছিলো জোৎস্নাময়
কায়িনাতে অন্ধকারের ছিলো না বালায়।
হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম
গিয়েছিলেন সন্তাদের নিয়ে মেরামতে ‘হারাম’।
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উনার ভাঙা দেয়াল
নূরী বিলাদতী শানে হলো বহাল।
একাকীত্ব হযরত উম্মু রসূল আলাইহাস সালাম
সঙ্গীহীনে ছিলো দিল-মন নরম।
হঠাৎ দেখলেন মুবারক বাড়ির কোণায়
সুউঁচ্চ চারজন দুলহানী মহিলার ন্যায়।
মহীয়সী নারী উনাদের উজ্জ্বলতায় ছড়ান আলো
উনারা নূরে হাবীব উনাকে গ্রহণকারিণী ছিলেন।
প্রথমজন হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম
মনোনীতা মাতাকে জানালেন ছলাত-সালাম।
রবীয়া-মুদ্বার গোত্রের সাইয়্যিদী রেহেমে
সৌভাগ্যবান হে মাতা রহেন আরামে।
আপনার মতো কে আছেন, হে মা-মণি!
রেহেমে ধারণকৃত আপনার আওলাদ তত্ত্বজ্ঞানী।
বলেই গেলেন ইস্তিকবাল জানাতে বাম (পাশে)
যিনি হলেন হযরত সারাহ আলাইহাস সালাম।
বেমেছাল প্রশংসিত নূর, হে মা-মণি!
করেছেন ধারণ রেহেম শরীফে আপনি।
পিঠের দিকে গেলেন দিতে আরাম
যিনি হযরত আছিয়া আলাইহাস সালাম।
মু’জিযা, আয়াত, দালায়িলের অধিকারী যিনি
ধারণ করেছেন উনাকে রেহেমে, হে মা-মণি!
নিকটে বসে দিতে বললেন হেলান
মারইয়াম বিনতে ইমরান আলাইহাস সালাম।
আম্মাজীর নিঃসঙ্গতা করলেন দূর উনারা
দলে দলে অবতীর্ণ হলেন ফেরেশতারা।
বহু ভাষায় বৈচিত্র্যপূর্ণ দুর্বোধ্য না’ত
আম্মাজী শুনছেন ঈদে আ’যমের ছলাত।
রূহসমূহ শরাবান তহুরা’য় শ্রেণীবদ্ধ
জান্নাতের নবোদ্ভিন্না হুরগণ হলেন সজ্জিত।
পবিত্র মেশকের সুগন্ধি ছড়ানো দুনিয়ায়
নৈকট্য ও দীদারের জায়নামায বিছানো ধরায়।
দোযখ বন্ধ, জান্নাত রইলো উন্মুক্ত
ইবলিস-কাফির ছিলো বাঁধা শক্ত।
আসমান-যমীনে চলছে বিলাদতী ঘোষণা
মুহিব ও মাহবুবী দীদারের বইছে শানা।
বনের উন্মুক্ত প্রান্তরে বৈচিত্র্যময় পশুগুলো
বিলাদতী খুশির ছলাতে মেতে উঠলো।
শাম দেশের বছরা নগরীর প্রাসাদ
আম্মাজী দেখলেন নূরী আলোয় আহলাদ।
মক্কা শরীফের পাহাড়ে রইলো পাহরায়
সুগন্ধিযুক্ত ফেরেশতারা সাদা মেঘের পাখায়।
আম্মাজী দেখলেন বেমেছাল তিনটি পতাকা
কাবা শরীফের ছাদে একটি রাখা।
পশ্চিম প্রান্তে বিছানো পতাকা আরেকটি
হাবীবী বিলাদতে পূর্বে রইলো অপরটি।
বৈচিত্র্যময় রঙ-বেরঙের আলোকিত পাখি
কক্ষে দেখে উম্মীলিত রইলেন আম্মাজী।
স্বর্ণাভ-রৌপ্য নির্মিত ‘আগরদান’গুলো
ফেরেশতাদের হাতে সুগন্ধির ধূম্র ছড়াচ্ছিলো।
তাঁবুর মতো আম্মজীর মাথায় চন্দ্রের আলো
তারকাগুলো ঈদে বিলাদতে মাথার উপরে রইলো।
দুধের ন্যায় শুভ্র সুগন্ধিময় পানীয়
মিষ্টি-ঠান্ডয় ছিলো সুপেয় অতুলনীয়।
আম্মাজী পিপাসায় পান করলেন পানি
বিলাদত ঘটলো নূরে হাবীবের তখনি।
-গোলাম মুহম্মদ যুফার, ভোলাহাট।
No comments:
Post a Comment